বিমানে গ্রেনেড বিস্ফোরণ প্রিগোজিনের মৃত্যু কারণ: পুতিন

গত আগস্টে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এর কারণ হিসেবে বিমানের ভিতরে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ হওয়াকে ইঙ্গিত করেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় এক প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশিত হয়।
রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার পুতিন ইঙ্গিত দেন, প্রিগোজিনের বিমানটি ভেতর থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুজবের কাহিনীর মতো কোনও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেটিকে আঘাত করা হয়নি। দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পুতিন আরও বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। এমনকি বিমানটিতে কোনও বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না। এই থেকেই দুর্ঘটনার কারণ বোঝা যায়।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি প্রিগোজিনের বিমানটিকে গুলি করা হয়েছিল বলে দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
প্রিগোজিন এক সময় ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। কিন্তু গত ২৩ জুন তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রাও শুরু করেন তিনি।
ওই ঘটনায় একদিনের ব্যবধানে প্রিগোজিন পুতিনের বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবিকে মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।
এক্সিকিউটিভ জেটে কীভাবে গ্রেনেড বা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো যেতে পারে সে সম্পর্কে পুতিন আর কোনও তথ্য দেননি। তবে তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে অ্যালকোহল এবং ড্রাগ পরীক্ষা না করা তদন্তকারীদের ভুল ছিল।পুতিন বলেন, ‘আমার মতে, এই ধরনের পরীক্ষা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি।’
উল্লেখ্য,গত আগস্টে ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’ নামের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে রাশিয়ার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাত্রা করেছিরেন প্রিগোজিন। যাত্রাপথে কুঝেনকিনো এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। বিমানে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে ছিল প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের আরেক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উতকিন। এছাড়া প্রিগোজিনের চার দেহরক্ষীও সেখানে ছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১০ আরোহীর সকলেই নিহত হন।