তরুণদের হাতেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তরুণদের হাতেই গড়ে উঠবে আগামীর স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। প্রধানমন্ত্রী আগামীর তরুণদের জন্য সমান সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) সিআরআই ও ইয়াং বাংলা আয়োজিত 'এনার্জি অ্যান্ড ফাইনান্স' শীর্ষক 'লেটস টক' এর প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন। লেটস টকে অংশগ্রহণকারী তরুণরা প্রতিমন্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। সেই বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকবে আজকের তরুণরাই। প্রতিমন্ত্রী তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদের মতামত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন, স্মার্ট গ্রীড নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন, নাবায়ণযোগ্য জ্বালানি, অফশোর ও অনশোর বায়ুবিদ্যুৎ, লিথিয়াম ব্যাটারী কারখানা স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান প্রভৃতি খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হবে সামনের দিনগুলোতে। চার্জিং স্টেশন বা চার্জিং নীতিমালা করা হয়েছে। ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল খাতেও বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনী চিন্তা তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়বে আগামীতে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ বৎসরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
জ্বালানি সাশ্রয়ে তরুণদেরকে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সচেতনতা দিয়েই হবেনা তরুণদেরকে একাজে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। জ্বালানি খাতে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা বিচ্চুরণ খুব শিগগিরই আবার চালু হচ্ছে।
নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির আবিস্কারকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সব সময় স্বাগত জানায়। ইপিআরসি গবেষণা ও উদ্ভাবনী প্রকল্পে এককালীন অনুদান দিয়ে থাকে।
কারো এমন কোন প্রকল্প থাকলে মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ এনার্জি গবেষণা কাউন্সিল এ জমা দেয়ার আহবান জানান তিনি।
সাহস মোস্তাফিজের সঞ্চালনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের অধ্যাপক সেলিয়া শাহনাজ ও গ্রিন ভয়েজের ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর ইশরাত জাহান।